যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস-২০২২ পালনের লক্ষ্যে ডেসকো’র পক্ষ হতে আলোচনা সভা ও দোয়া-মাহফিল আয়োজন, অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণসহ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
দিবসের শুরুতে ডেসকো’র প্রধান কার্যালয়সহ সকল দপ্তরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের সময় ডেসকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কাওসার আমীর আলী, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও এইচআর) খন্দকার জহিরুল ইসলাম, যুগ্মসচিব, নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল), নির্বাহী পরিচালক (সংগ্রহ) এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ের মুজিব কর্নারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে।
সকাল ০৯:০০ টায় প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন দপ্তরে ডেসকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং এমিরেটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগসহ ডেসকো’র সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভার্চুয়াল মাধ্যমে শোক দিবসের আলোচনায় যোগদান করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করে নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও এইচআর) মহোদয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তাঁর চাওয়া ছিলো বাংলার মানুষ যেন খেতে পায়, কাপড় পায়, শিক্ষা পায়। শিক্ষিত জাতি গঠনের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর একটি বড় গুণ ছিলো পরমত সহনশীলতা। এছাড়া রাজনীতি হতে তিনি কখনও কোনো সুবিধা নেননি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে হলে দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে, সহনশীল হতে হবে আর আত্মত্যাগের মানসিকতা থাকতে হবে।
সভাপতি মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর আপোষহীন সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বাংলার মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর আত্মবিশ্বাস ছিল তাঁর মূল শক্তি। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য জাতির পিতা যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তা বহুলাংশে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নের পথে বহুদূর এগিয়ে নিয়েছেন। দেশে বিদ্যুতের এক নাজুক পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শক্ত হাতে এর হাল ধরে ছিলেন। তাঁর দূরদর্শিতা আর সাহসী নেতৃত্বে বিদ্যুতের সংকট কাটিয়ে আমরা দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করতে পেরেছি। যার ফলশ্রুতিতে আমরা আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা আর বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে নিজে মিতব্যয়ী হওয়া এবং অন্যকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উৎসাহিত করার জন্য সকলের প্রতি আহŸান জানান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডেসকো’র সকল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন নিকুঞ্জস্থ আল মাদ্রাসাতুল নূরীয়া ও এতিমখানায় পবিত্র কোরআন খতম, ১৫ আগস্টের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া এবং এতিম/অসহায় ও দুঃস্থদের জন্য উন্নতমানের খাবারের আয়োজন করা হয়।