মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ প্রত্যুষে ডেসকো’র প্রধান কার্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল। এসময় ডেসকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কাওসার আমীর আলী, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও এইচআর) যুগ্মসচিব খন্দকার জহিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নির্বাহী পরিচালক মহোদয়গণ এবং ডেসকো’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ০৯:৩০ ঘটিকায় ডেসকো’র প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন দপ্তরে ডেসকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের সভাপতিত্বে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. শওকত আরা হোসেন, সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। নির্বাহী পরিচালক মহোদয়গণসহ ডেসকো’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন। প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন তার বক্ত্যেব্যে বলেন জাতির পিতার আদর্শ ধারন করতে হলে আমাদেরকে জাতির পিতাকে চিনতে হবে। তিনি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, মুক্তিযোদ্ধের প্রেক্ষাপট, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা, জাতির পিতার বিভিন্ন ভাষন ও জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে জাতির পিতার আদর্শের সঙ্গে উপস্থিত সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় সাম্য, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে রাষ্ট্র ঘটনে ভূমিকা রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
ডেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন স্বাধীনতার সুফল হচ্ছে বাংলাদেশের আজকের এই উন্নয়ন। তিনি মুক্তিযোদ্ধের মূল আদর্শকে বুকে ধারন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভাপতি মহোদয় তার বক্তব্যে শৈশবে দেখা ৭১ এর মার্চের অভূতপূর্ব গণজাগরন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন জাতির পিতা জীবনবাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন বলেই আজ আমরা বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের স্বাধীনতা পদক ২০২২ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষন পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা এবং প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সুযোগ্য নেতৃত্ব আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি আর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পেরেছি। তারই যথাপোযুক্ত স্বীকৃতি হলো এই স্বাধীনাত পুরস্কার ।